বৈশ্বিক বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ

 ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে টানা নয় বছর ভাইস চ্যান্সেলর ছিলেন জামিলুর রেজা চৌধুরী স্যার। সরকারের ঘনিষ্ট হওয়া সত্বেও উনি কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যােলয়ের দায়িত্ব নেন নি। এক সাক্ষাৎকারে উনি বলেছিলেন উনি ইচ্ছে করেই সরকারি বিশ্ববিদ্যােলয়ের উপাচার্য হতে চান নি। ব্র্যাক বিশ্ববিদালয়ের আজকের যে অবস্থান সেটি কীভাবে তৈরী হয়েছে তা সহজেই অনুমেয়। বাংলাদেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এ অবনতির কারণ তো সবারই জানা। বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শুধু পড়াশোনা আর গবেষণা হয়। এখানে একজন আন্ডারগ্রাড সকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যা অবধি ল্যাবে থাকে। ৩য় বর্ষ থেকে রিসার্চ শুরু। ৪র্থ বর্ষে আন্ডারগ্রাড থিসিস জমা দিতে হয়। আর শিক্ষকরা তো পারলে ২৪ ঘন্টায়ই বিশ্ববিদ্যালয়ে কাটিয়ে দেয়। পুরো পৃথিবীতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চলে এক নিয়মে, বাংলাদেশে চলে আরেক ভাবে। সাম্প্রতিক সময়ে বুয়েট যেভাবে ঘুরে দাড়িয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে নিশ্চয়ই তার দৃশ্যমান ফলাফল পাবে শিক্ষা ও গবেষণায়। আর সবার ঘুম ভাঙ্গবে কবে?

মন্তব্যসমূহ