পোষ্যকোটা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবেক
কোটা সাধারণত অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে মূলধারা থেকে যাতে বিচ্ছিন্ন হয়ে না যায় তার জন্য প্রবর্তিত একটি ব্যবস্থা।এখন প্রশ্ন হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত একজন শিক্ষক বা কর্মকর্তা কি অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর মধ্যে পড়ে? বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত সুযোগ সুবিধা ব্যবহার করেও পোষ্য কোটায় সহজেই আবার তাদের সন্তানরা ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় এ ধরনের পো্ষ্য কোটার তীব্র নিন্দা করছি। চরম প্রতিযোগীতাপূর্ণ পরীক্ষায় নিজেদের সন্তানদের সহজে উত্তরণের কি সুন্দর সিসেটম করে রাখা হয়েছে। দেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই এটি এখনও চালু রয়েছে। এরকম একটি বিবেক বর্জিত কাজ কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয় করতে পারলো? এটি তো পরোক্ষভাবে নিজের সন্তানদের অযোগ্যতাকে লুকানোর একটি প্রচেষ্টা। আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষকের ছেলেমেয়েকে দেখেছি যারা এখানে ভর্তিযুদ্ধে টিকতে না পেরে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে বা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে। এতে তো লজ্জার কিছু নেই। কিন্তু নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটায় সন্তানকে পড়ানোই আমার কাছে লজ্জার। যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা রয়েছে সেগুলোকে বিলুপ্ত করা হোক অতিদ্রুতই। সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সুযোগ বৃদ্ধি করা হোক। যোগ্যরাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হোক।নয়তো বাকৃবিকে নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা ঐসব বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় যাবে কিনা? কেননা সুনামের সাথে ও স্বচ্ছভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার একটা সুদীর্ঘ ইতিহাস দেশসেরা এ প্রতিষ্ঠানের রয়েছে।
বি.দ্র. বাকৃবিসহ অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই পোষ্য কোটা নেই। যাদের আছে তাদেরও বিলুপ্ত হোক দ্রতই।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box