সাম্প্রতিক পর্যবেক্ষনঃ বিবেকের দায়

 দেশের কয়েকদিনের ঘটনা প্রবাহ লক্ষ্য করলাম। সারমর্ম হচ্ছেঃ

১. দেশে এক দাস শ্রেণী তৈরী হচ্ছে। এতে অশিক্ষিত, সুশিক্ষিত, উচ্চশিক্ষিতসহ সমাজের সকল স্তরের মানুষ আছে। পেশা, আদর্শ, ইত্যাদির দাসত্ব করে এরা। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে গুণকীর্তন ছাড়া কোন দোষ এদের চোখে পড়বে না। সমালোচনা করবে না। আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেও না।
২. দেশে কোন বুদ্ধিজীবি বা সুশীল সমাজ বা নাগরিক সমাজ আছে বলে মনে হয় না।
যারা আসলে কোন বিশেষ গোষ্ঠীর না, পক্ষপাতদুষ্ট না, সত্যকে সত্য ও মিথ্যাকে মিথ্যা বলার সাহস ও যোগ্যতা রাখে এবং সেটির গ্রহণযোগ্যতাও থাকে দেশব্যাপী। এরকম নাগরিক সমাজ একটি দেশের মূল্যবান সম্পদ। সাম্প্রতিককালে অনেককে হারিয়ে এটি শূন্যের কোঠায় নেমে আসতে চলেছে যেটি যথেষ্ট ভাবনার।
৩. সমাজের একটা বড় অংশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সোচ্চার শুধু সেসব বিষয়ে যেগুলো মুখরোচক সংবাদ, নিজের ফায়দা হবে, কমেডিয়ান, বিতর্কিত ও গুজব। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে পাশ কাটিয়ে যারা এগুলো করেন তাদের বিবেকবোধ, মনুষ্যত্বজ্ঞান অন্য লেভেলের। অনেকেই সেরকম হতে পারে না।
৪. দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি হলেও মানবিকতা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। যতটুকু অবশিষ্ট আছে তার বেশিরভাগই লোক দেখানো। নৈতিক স্খলন সব পেশায় চূড়ান্ত পযার্য়ে। অপেশাদারিত্ব ও স্বেচ্ছাচারিতা কিছু গুরুত্বপূর্ণ পেশায় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দেশব্যাপি নিন্দা আসলেও তাদের সেদিকে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। একের পর এক অপরাধ করেই যাচ্ছে।
৫. ’আইন সকলের জন্য সমান’ সেটি নিশ্চিত করুন। তাহলে সবাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে ও আইন মেনে চলবে। আইনের পক্ষপাতদুষ্ট প্রয়োগ অনেক ঘটনার জন্ম দেয়।
৬. সর্বোপরি বিবেকের দায় থেকে বাশখালির ০৫ জন শ্রমিক হত্যার নিন্দা জানাচ্ছি। একজন শ্রমিকের জীবনের মূল্য তার মায়ের কাছে, আপনার মূল্য আপনার মায়ের কাছে যেরকম ঠিক সেরকমই। সেটির সুষ্ঠু তদন্ত এবং অপরাধী যে পেশায় নিয়োজিত থাকুক না কেন তাদের শাস্তি নিশ্চিত করবার অনুরোধ জানাচ্ছি।

মন্তব্যসমূহ