চিন্ময় কে নিয়ে ভারতের অতি আগ্রহের কারণ কি?

চিন্ময়  কে গ্রেফতার করা নিয়ে ভারতের যে রিয়েকশন সেটি অনেককেই যেমন বিস্মিত করেছে, সেই সাথে কিছু প্রশ্নেরও উদ্রেক হয়েছে।

চিন্ময় একজন বহিষ্কৃত নেতা। তার বিরুদ্ধে ইসকন এর কেন্দ্রীয় কমিটি এটি করেছে নৈতিক স্খলনের জন্য। এরকম একজন নেতার জন্য ভারত কেনো মরিয়া হয়েছে? এটিকে রাজনীতিক রূপ দিয়ে ভারত আসলে কি হাসিল করতে চায়?

ভারতের অতি আগ্রহ মামলাটিকে অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে তদন্তের দাবি কে শক্ত করেছে। এরকম একজন ধর্মীয় নেতার বিপুল বিত্ত বৈভবের উৎস সম্পর্কে জানাও অত্যন্ত জরুরি। ৫ তারিখের পর অনেকেই বিভিন্ন ভাবে দেশ অস্থিতিশীল করার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল। চিন্ময় এর কোনো অংশ কিনা সেটি খতিয়ে দেখাও গুরুত্বপূর্ণ। ভারত ও বাংলাদেশে শত শত হিন্দু বিভিন্ন কারণে গ্রেফতার হয়ে আদালত এর মাধ্যমে বিচারাধীন রয়েছে। হাজার হাজার মুসলিমও বিভিন্ন মামলায় আদালতের বিচারাধীন আছেন। কিন্তু চিন্ময় এ কেনো ভারতের টনক এভাবে নড়ল। এটা কি বিশেষ কেস? চিন্ময় এর দ্বারা ভারত কি করতে যাচ্ছিল? সেই ভাতে কি ছাই পড়ল?

সরকারের উচিত গভীর গোয়েন্দা তথ্য যাচাই বাছাই করা চিনলয়ের ব্যাপারে। ভারতের টনক নড়বার কারণ উম্মোচন করা। কোন তুরুপের তাস সে সেটি বের করা। তার স্থাবর, অস্থাবর সম্পদের খোঁজ নেয়া, সেগুলোর উৎস খুঁজে বের করা। 

দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন এখানে জড়িত। এবিষয়ে এক চুল ও ছাড় নয়। হিন্দু মুসলিম ভ্রাতৃত্ব বাংলাদেশে আবহমান কাল থেকে ভালো। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছাড়া হিন্দু মুসলিম তিক্ততা কখনও হয় নি। রাজনৈতিক নেতারা তাদের হীন উদ্দেশ্য সফল করবার জন্য এ ইস্যুটিকে ব্যবহার করে থাকেন। দেশের সাধারণ মানুষ, হিন্দু মুসলিম সবাইকে সেটি বুঝতে হবে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশ কোনো খারাপ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারলে, সেটি ভারতে তারা মুসলিম নিধনে ব্যবহার করবে, কিন্তু তার জন্য বাংলাদেশী হিন্দুদের বলি দিতে ভারত প্রস্তুত। তাই, বাংলাদেশী হিন্দুদেরও এটি বুঝতে হবে যে ভারত এখন যেটি করছে, সেটি হিন্দুদের মঙ্গলের জন্য নয়, তাদেরকে এটি গভীর সংকটে ফেলবে । 

রাজনীতির জন্য রাজনীতিবিদরা এহেন কিছু নেই যে করতে পারে না। ভারতবর্ষে হিন্দু মুসলিম দাঙ্গার মূলে রাজনীতি। কোনো সাধারণ হিন্দু বা মুসলিম নাগরিক নন। এই বুঝ যত দ্রুত আমাদের মননে বসবে, ততই মঙ্গল। 

নূরন্নবী সাগর

মন্তব্যসমূহ